নৌকার টিকিট চান শতাধিক ব্যবসায়ী

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ব্যানারে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে চান শতাধিক ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা। পুরনোদের পাশাপাশি নতুন করে অনেক ব্যবসায়ী ক্ষমতাসীনদের মনোনয়ন প্রত্যাশায় নিজ নিজ এলাকায় সামাজিক কর্মকাণ্ডসহ দলীয় সভা-সমাবেশ ও প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের বর্তমান ও সাবেক নেতা, পোশাক খাতের বড় সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ এবং বিভিন্ন জেলার চেম্বার ও ব্যাংকের পরিচালকরা।

গতকাল বুধবার তফসিল ঘোষণা উপলক্ষ্যে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে আগামী ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে, মনোনয়ন আপিল ও নিষ্পত্তি হবে ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর এবং নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টার মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৭ জানুয়ারি (রোববার)।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বর্তমান সংসদে প্রায় ৬২ শতাংশ সদস্য ব্যবসায়ী। বাকিদের মধ্যে অনেকে কোনো না কোনো ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর তথ্য অনুযায়ী, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শপথ নেওয়া সদস্যদের ১৮২ জনই (৬১ দশমিক ৭ শতাংশ) পেশায় ব্যবসায়ী। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট থেকে নির্বাচিত ব্যবসায়ী আছেন ১৭৪ জন (৬০ দশমিক ৪১ শতাংশ) এবং ঐক্যফ্রন্টের আছেন পাঁচজন। এ ছাড়া, স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য হয়েছেন তিন ব্যবসায়ী।

তবে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে সরাসরি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত এমন ব্যক্তির সংখ্যা আরো বাড়বে। এ ছাড়া, বিভিন্ন ব্যবসায়ী চেম্বার ও সংগঠনের নেতা রয়েছেন এমন সংখ্যাও অর্ধশতাধিক ছাড়িয়ে যাবে।

আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা এবং এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি সালমান এফ রহমান এমপি। আসন্ন নির্বাচনে এবারও তিনি ঢাকা- ১ (দোহার-নবাবগঞ্জ) আসন থেকে নির্বাচন করবেন। নিজ নির্বাচনী এলাকায় রাজনৈতিক সভা-সমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন তিনি।

ফরিদপুর সদর- ৩ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদ। তিনি এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে গণসংযোগ করেছেন তিনি।

খুলনা- ৪ (রূপসা-দিঘলীয়া ও তেরখাদা) সংসদীয় আসনের বর্তমান এমপি আব্দুস সালাম মুর্শেদী। ব্যবসায়ী ও খেলোয়াড় হিসেবে পরিচিত এ নেতা আগামীতেও নৌকার মাঝি হতে চান। নারায়ণগঞ্জ- ৫ আসন থেকে একাধিকবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও নিট পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ’র সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমানও নির্বাচন করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন এফবিসিসিআইয়ের দুবারের নির্বাচিত সাবেক সভাপতি ও কুমিল্লা- ৩ মুরাদনগর আসনের সংসদ সদস্য ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন। তিনি আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনাবিষয়ক সম্পাদক। নির্বাচনী এলাকায় সামাজিক কর্মকাণ্ডসহ দলীয় সভা-সমাবেশ ও প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে এমপি হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছেন এফবিসিসিআইয়ের সদ্য সাবেক সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। তিনি বেঙ্গল গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান ও বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংকের চেয়ারম্যান। এর আগে তিনি ঢাকা- ১৭ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন।

কুমিল্লা- ২ আসন (হোমনা-তিতাস) থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মাতলুব আহমাদের সহধর্মিণী এবং নিটল-নিলয় গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ উইমেন্স চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি সেলিমা আহমাদ এমপি। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনোনয়ন দিলে নির্বাচন করব। জনগণের ভোটে বিজয়ী হয়ে কুমিল্লা- ২ আসনের জন্য কাজ করব। গ্রাম থেকে শহর, সর্বত্র স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চলমান উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখব।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী এফবিসিসিআই ও বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। তিনি ঢাকা- ১০ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য হন। আগামীতেও নৌকার হাল ধরতে চান। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, চলমান উন্নয়ন ও অগ্রগতি, দারিদ্র বিমোচন এবং সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আগামীতেও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন করা জরুরি। এজন্য কে মনোনয়ন পেল এটা বড় বিষয় নয়। আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করব। মহামারি করোনা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, ফিলিস্তিন-ইসরায়েলের যুদ্ধ, জ্বালানির দাম বৃদ্ধি— সবমিলিয়ে বৈশ্বিক পরিস্থিতি দেশের সার্বিক অর্থনীতির অনুকূলে নয়। এ সময় সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দরকার। এজন্য শেখ হাসিনার সরকার প্রয়োজন।

সুনামগঞ্জ- ৪ (সদর-বিশ্বম্ভরপুর) আসন থেকে নির্বাচন করতে চান সুনামগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ও এফবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি খায়রুল হুদা চপল। এফবিসিসিআইয়ের আরেক সহ-সভাপতি ড. যশোদা জীবন দেবনাথ। সারা দেশে এটিএম বুথ, সিআরএম মেশিনের সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান টেকনোমিডিয়ার মালিক দেবনাথ ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। ব্যবসায়ী এ নেতা ফরিদপুর- ৩ আসন থেকে নির্বাচন করতে আগ্রহী।

নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ও বর্তমান পরিচালক মুনতাকিম আশরাফ টিটু। তিনি কুমিল্লা- ৭ (চান্দিনা) আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে চান। তিনি চান্দিনা উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি। মুনতাকিম আশরাফ প্রয়াত নেতা সাবেক ডেপুটি স্পিকার অধ্যাপক মো. আলী আশরাফের সন্তান। আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে মুনতাকিম আশরাফ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি ব্যবসায়ী। এর চেয়ে বড় পরিচয় আমি রাজনীতিবিদ। আমার বাবা দীর্ঘ ৫৮ বছর আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে গেছেন। ছাত্রজীবন থেকে আমিও রাজনীতি করে আসছি। চান্দিনার তৃণমূল নেতাকর্মীরা আমাকে চাচ্ছেন। আগামীতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে চাই। আশা করছি, আমি মনোনয়ন পেলে নৌকার জয় নিশ্চিত করব।

নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার তালিকায় আছেন বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু। মানিকগঞ্জ- ৩ আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক তোসাদ্দেক হোসেন খান টিটু। টাঙ্গাইলের কালিহাতী থেকে মনোনয়ন চাচ্ছেন সাবেক পরিচালক আবু নাসের।

চুয়াডাঙ্গা- ১ আসন থেকে মনোনয়ন চাচ্ছেন দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য। পাশাপাশি তিনি এফবিসিসিআইয়ের সাবেক ভাইস-প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান পরিচালক, বাংলাদেশ ডায়মন্ড মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট এবং বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

অভিনয়শিল্পী থেকে এখন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠনের নেতা শমী কায়সার। তিনিও আগামী সংসদ নির্বাচনে নৌকার হাল ধরতে আগ্রহী। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি বড় ব্যবসায়ী নই। ছোট ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এখনো নিজেকে অভিনয়শিল্পী হিসেবে পরিচয় দিই। ব্যবসার পলিসি লেভেলে কাজ করছি। এখন যদি জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে বড় পরিসরে মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ আসে, অবশ্যই সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। তবে, আমাদের মূল লক্ষ্য জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত শক্তিশালী করা। উনি আছেন বলেই বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তার ইচ্ছায় নীতিনির্ধারণী মহল যদি মনে করেন যে সুযোগ দেবেন তাহলে নির্বাচন করব।

জামালপুর- ৫ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে চান জামালপুর চেম্বারের সভাপতি ও এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক রেজাউল করিম রেজনু। টাঙ্গাইল- ৭ (মির্জাপুর) আসন থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন খান আহমেদ শুভ। বর্তমানে তিনি এ আসনের সংসদ সদস্য। বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. একাব্বর হোসেন মারা যাওয়ার পর উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তিনি নির্বাচিত হন। নরসিংদী- ১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইবেন আরেক ব্যবসায়ীনেতা ও এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক এবং নরসিংদী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট মো. আলী হোসেন শিশির। বগুড়া থেকে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করার আগ্রহ দেখাচ্ছেন জেলার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ও এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক মাসুদুর রহমান মিলন। নৌকার মাঝি হতে চান নিজাম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, অ্যাডভেঞ্চার ল‌ঞ্চের মালিক ও এফ‌বি‌সি‌সিআইয়ের প‌রিচালক নিজাম উদ্দিন মৃধা, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি ও এফ‌বি‌সি‌সিআইয়ের প‌রিচালক মোহাম্মদ আলী খোকন। ঢাকা- ৫ আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী এশিয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান হারুন-অর রশীদ। ঢাকা- ১৬ আসন থেকে নৌকার প্রার্থী হতে চান বিজিএমইএ’র সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি।

ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়ীদের মধ্যে ঢাকা- ১০ আসন থেকে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে চান প্রিমিয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যান ডা. এইচ বি এম ইকবাল, ঝালকাঠি- ১ আসন থেকে নৌকার মাঝি হতে চান প্রিমিয়ার ব্যাংকের পরিচালক বজলুল হক হারুন (বি এইচ হারুন) এবং নারায়ণগঞ্জ- ১ আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন যমুনা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক।

বেসরকারি মার্কেন্টাইল ব্যাংকের উদ্যোক্তা পরিচালক ও চেয়ারম্যান মোরশেদ আলম। তিনি বেঙ্গল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী- ২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ি) আসন থেকে দুবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য। আগামী সংসদ নির্বাচনে তিনিও প্রার্থী হতে আগ্রহী।

এ ছাড়া, প্রাইম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান পরিচালক কাজী সিরাজুল ইসলাম ফরিদপুর- ১ আসন থেকে, টাঙ্গাইল- ৬ আসন (নাগরপুর-দেলদুয়ার) থেকে ঢাকা এক্সচেঞ্জের সাবেক সভাপতি ও সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের উপদেষ্টা আহসানুল ইসলাম টিটু, মিডল্যান্ড ব্যাংকের উদ্যোক্তা আবদুল মজিদ মণ্ডলের ছেলে আব্দুল মমিন মণ্ডল, ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালক ও নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন পারভীন হক সিকদার, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক ও লক্ষ্মীপুর- ১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খান, ফেনী- ৩ আসন থেকে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান নিজাম চৌধুরী, রংপুর- ৫ আসন থেকে মেঘনা ব্যাংকের চেয়ারম্যান এইচ এন আশিকুর রহমান এমপি, মধুমতি ব্যাংকের পরিচালক মো. দিদারুল আলম চট্টগ্রাম- ৪ আসন থেকে, খুলনা- ২ আসনের সংসদ সদস্য মধুমতি ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েলও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের টিকিট প্রত্যাশা করছেন। নৌকার মনোনয়ন পাওয়ার জন্য তারা নিজ নিজ এলাকায় প্রচার-প্রচারণাসহ দলীয় নীতিনির্ধারকদের কাছে দৌড়ঝাঁপ করছেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন